নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জাতীয় ছাত্র-জনতার প্ল্যাটফর্ম এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক বিশাল পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে শহরের শান্তি মোড় থেকে শুরু হয়ে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে গিয়ে পদযাত্রার সমাপ্তি ঘটে। দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এই পদযাত্রায় এনসিপির শীর্ষ নেতারাসহ হাজারো মানুষ অংশ নেন। পদযাত্রা শেষে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ চত্ত্বরে আয়োজিত সমাপনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এতে এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান একটি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখায়, সীমান্তে দাদাদের বাহাদুরি শেষ হয়েছে, সীমান্তে আগ্রাসন হলে ভারত অভিমুখে লংমার্চ ঘোষনা করা হবে। তিনি বলেন, আমরা এসেছি জুলাই অভ্যুত্থানের বার্তা নিয়ে। যে বার্তা একটি ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র কায়েমের স্বপ্ন দেখায়। বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখায়। পথসভায় এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন,গণঅভ্যুত্থানের পরে আমরা নতুন বাংলাদেশ চেয়েছি, আমরা রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার চেয়েছি, আমরা গণত্যাকারীদের বিচার চেয়েছি। আমরা জুলাই ঘোষনাপত্র এবং জুলাই সনদ চেয়েছি। তিনি আরও বলেন, প্রিয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ আম শিল্পে, রেশম শিল্পে, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ খাতে বৈষম্যের শিকার। বাংলাদেশের সকল জেলায় এমন বৈষম্য দূর হবে আমরা সেই স্বপ্ন দেখি। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কঠোর সমালোচনা করে নাহিদ বলেন, সীমান্তে বিএসএফ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে গ্রেনেড মারে, এখানে বোমার বিষ্ফোরণ ঘটনায়। আমরা কিন্তু এইসব আগ্রাসন আর মেনে নিবোনা। আমাদের সীমান্ত আমরাই রক্ষা করবো। দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের উপর দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ নির্মম নির্যাতন করেছে। সেই নির্যাতনকে সাই দিয়ে দিল্লির সরকারও সীমান্তে হত্যা চালিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াই চলবে। ভারত আর কোনদিন আঙ্গুল উচিয়ে কথা বলতে পারবে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ আঞ্চলিক বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। আগামীর বাংলাদেশে আর কোন বৈষম্য দেখতে চাইনা। ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে যে নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হয়েছে, আর পুরোনো সিস্টেমে চলতে পারেনা।
পদযাত্রায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব আখতার হোসাইন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সার্জিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারাসহ শতাধিক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়েছেন। বিকেলে এনসিপির চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয় উদ্বোধন শেষে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন এনসিপির নেতারা।