নিউজ ডেস্কঃ বহুদলীয় গণতন্ত্রের রূপকার,বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ। বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধের এই মহান নায়ক। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার গাবতলীতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা রসায়নবিদ মনসুর রহমান। মা জাহানারা খাতুন রানী। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় জিয়াউর রহমানের ডাকনাম কমল। ১৯৫৩ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার হিসেবে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন জিয়াউর রহমান। দায়িত্ব পালন করেন মুক্তিযুদ্ধের একটি স্বতন্ত্র সেক্টরের। তার নামে গড়ে ওঠে জেড ফোর্স। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ২৫ আগস্ট তিনি সেনাবাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হন। ৭৫ সালের ৭ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে অধিষ্ঠিত হন। ৭৬ সালের ২৯ নভেম্বর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। এরপর ৭৭ সালের ২১ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বিপথগামী একদল সেনা সদস্যের হাতে শাহাদত বরণ করেন তিনি।
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। তার প্রতিষ্ঠিত দলটি তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল। এই দল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি শুরু করেন তিনি। দিবসটি উপলক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাণী দিয়েছেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতিতে বলেন,শহীদ জিয়া ছিলেন তার জীবদ্দশায় দেশের সব ক্রান্তিকাল উত্তরণে জাতির দিশারী। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের জনগণের ওপর আক্রমণ করার পর তিনি পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ২৬ মার্চ তিনি চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন অসীম বীরত্বে। জাতির এরকম এক মহাসংকটকালে ৭ নভেম্বর সৈনিক-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে শহীদ জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতার হাল ধরেন। ক্ষমতায় এসেই তিনি বিচার বিভাগ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) একদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।